বিশ্বের দীর্ঘতম সেতু পদ্মা সেতু বাংলাদেশে অবস্থিত। এই সেতুটি দেশের দুটি অঞ্চল ঢাকা ও বরিশালের মধ্যে সংযোগ স্থাপনে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। 6.15 কিলোমিটার (3.81 মাইল) দৈর্ঘ্য সহ, এটি বর্তমানে নির্মিত দীর্ঘতম সেতু এবং এটি বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো প্রকল্প।
এই ব্লগ পোস্টে, আমরা পদ্মা সেতু, এর ইতিহাস, নির্মাণ প্রক্রিয়া এবং বাংলাদেশের উন্নয়নে এর অবদান সম্পর্কে কিছু আকর্ষণীয় তথ্য দেখব। প্রকৌশলের এই অবিশ্বাস্য কীর্তি কীভাবে সারা দেশে পরিবহণকে রূপান্তরিত করেছে এবং স্থানীয় সম্প্রদায়কে প্রভাবিত করেছে তাও আমরা অন্বেষণ করব।
পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন করেছে কোন দেশ?
পদ্মা সেতু বিশ্বের বৃহত্তম সড়ক সেতু। এটি বাংলাদেশের পদ্মা নদী পর্যন্ত বিস্তৃত। সেতুটির মোট দৈর্ঘ্য 6.15 কিলোমিটার (3.81 মাইল)। এটি বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে এবং চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন (সিএসসিইসি) দ্বারা নির্মিত।
২০১৪ সালের ১৭ জুন পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ সরকার ও চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানির মধ্যে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে চীনের কোম্পানিটি পদ্মাসেতু নির্মাণের দায়িত্ব পায়।
সেতুটি ২০২২ সালের ২৫ জুন উদ্বোধন করা হয়। এই দিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাওয়া প্রান্ত দিয়ে টোল প্রদান করে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুতে আরোহণ করেন ও সেতুটি উদ্বোধন করেন।
- নির্মাণ কাজ শুরু : ৭ই ডিসেম্বর ২০১৪
- নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ : ২৫ জুন ২০২২
পদ্মা সেতুর খরচ কত
পদ্মা সেতুর ব্যয় করা হয়েছে ৩.৫ বিলিয়ন ডলার বা ৩০ হাজার ১৯৩ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা। এসব খরচের মধ্যে রয়েছে সেতুর অবকাঠামো তৈরি, নদী শাসন, সংযোগ সড়ক, ভূমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও পরিবেশ, বেতন ইত্যাদি।
পদ্মা সেতুর মোট ব্যয়: ৩০,১৯৩.৩৯ কোটি
বাংলাদেশের অর্থ বিভাগের সঙ্গে সেতু বিভাগের চুক্তি অনুযায়ী, সেতু নির্মাণে ২৯ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা ঋণ দেয় সরকার। ১ শতাংশ সুদ হারে ৩৫ বছরের মধ্যে সেটি পরিশোধ করবে সেতু কর্তৃপক্ষ।
পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য কত?
পদ্মা সেতু বিশ্বের দীর্ঘতম সেতু, যার মোট দৈর্ঘ্য প্রায় 6.15 কিলোমিটার (3.81 মাইল)। । সেতুটির নির্মাণ কাজ 2014 সালে শুরু হয়েছিল এবং এটি 2022 সালে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরো পড়ুন: শীর্ষ 10 সেরা মোবাইল ফোন কোম্পানি
পদ্মা সেতুটি সম্পন্ন হলে বিশ্বের দীর্ঘতম সেতু হবে এবং ঢাকাকে ২১টি জেলার সাথে সংযুক্ত করবে। এটি হবে পদ্মা নদীর উপর প্রথম সেতু, এবং বর্তমানে নির্মাণাধীন। সেতুটির মোট দৈর্ঘ্য হবে 6.15 কিলোমিটার, প্রস্ত : ২১.৬৫ মিটার এবং এটির জন্য $3.5 বিলিয়ন ব্যয় হবে।
পদ্মা সেতুর কাজ কবে শুরু হয়
২০১৪ সালের ১৭ জুন পদ্মা বহুমুখী সেতুটি নির্মাণে চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি করে সেতু বিভাগ। ২০১৪ সালে ১৭ সেপ্টেম্বর দুদক জানায় পদ্মা সেতুতে কোনো দুর্নীতি হয়নি। ২৬ অক্টোবর পদ্মা সেতু দুর্নীতির মামলার অবসান হয়।
২০১৪ সালের ২৬ নভেম্বর মূল পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
✅ নির্মাণ কাজ শুরু : ৭ই ডিসেম্বর ২০১৪ ✅ নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ : ২৫ জুন ২০২২
পদ্মা সেতু কোন জেলায় অবস্থিত
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলার সাথে যুক্ত হয়েছে। এটি পদ্মা নদী পর্যন্ত বিস্তৃত। দেশের রাজধানী ঢাকার সাথে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বরিশাল সাথে সংযোগ স্থাপন করেছে।
সেতুটি 6.15 কিলোমিটার (3.8 মাইল) দীর্ঘ এবং 38 মিটার (125 ফুট) চওড়া, এবং প্রাক চাপযুক্ত কংক্রিট বক্স গার্ডার সেতুগুলির একটি সিরিজ নিয়ে গঠিত।
পদ্মা সেতুর অর্থনৈতিক গুরুত্ব
সেতুটি সম্পন্ন হলে বাংলাদেশের সমুদ্রে প্রবেশের উন্নতি হবে, যা নতুন বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ উন্মোচন করবে। সেতুটি দেশের মানুষের জন্য ভ্রমণকে আরও সহজ করবে, পর্যটনকে বাড়িয়ে তুলবে।
পদ্মা সেতু নির্মাণ বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি বড় মাইলফলক। সেতুটি দেশের দুটি বৃহত্তম শহর, ঢাকা ও বরিশাল মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন সংযোগ হবে এবং ভ্রমণের সময় উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করবে এবং এই অঞ্চলে অর্থনৈতিক কার্যকলাপকে বাড়িয়ে তুলবে।
All Bangla News 👉 Tune Status 👈
ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে পদ্মা সেতু হয়ে উঠতে পারে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রতীক এবং আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে এর সম্ভাবনা। প্রকল্পের সাফল্য আরও বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনতে সহায়তা করতে গুরুত্বপূর্ণ হবে।
উপসংহার
পদ্মা সেতু বিশ্বের দীর্ঘতম সেতু এবং একটি সত্যিকারের প্রকৌশল বিস্ময়। এই সেতুর নির্মাণ বাংলাদেশের সবচেয়ে জনবহুল দুটি অঞ্চলকে সংযুক্ত করেছে, যা তাদের মধ্যে বৃহত্তর অর্থনৈতিক সুযোগ এবং উন্নত সামাজিক একীকরণের অনুমতি দিয়েছে।
আমরা তাদের সকলকে সাধুবাদ জানাই যারা এই উচ্চাভিলাষী প্রকল্পটিকে বাস্তবে পরিণত করেছেন, কারণ এটি কঠোর পরিশ্রম, নিষ্ঠা এবং দৃষ্টি দিয়ে কী অর্জন করা যেতে পারে তার প্রমাণ।