পদ্মা সেতু কত কিলোমিটার। পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ কত

পদ্মা নদীর ওপর নির্মিত পদ্মা সেতু একটি বহুমুখী মহাসড়ক ও রেল সেতু। এটি বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু। সেতুটি মুন্সিগঞ্জের মাওয়া, লৌহজংকে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। এর ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্ত উত্তর-পুর্বাঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।

সেতুটি পদ্মা নদীর উপর প্রসারিত হবে, যা ঢাকা মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ও ফরিদপুর, শরীয়তপুর, মাদারীপুর শহরকে সংযুক্ত করেছে। এই ব্লগ পোস্টে, আমরা পদ্মা সেতু, এর ইতিহাস, নির্মাণ প্রক্রিয়া এবং পদ্মা সেতু কত কিলোমিটার এ সম্পর্কে কিছু আকর্ষণীয় তথ্য দেখব।

পদ্মা সেতু কত কিলোমিটার। পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ কত

পদ্মা সেতু কত কিলোমিটার

পদ্মা সেতু বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘতম সেতু। এটি পদ্মা নদী পর্যন্ত বিস্তৃত, দেশের রাজধানী ঢাকার সাথে দক্ষিণাঅঞ্চল ও বরিশালের সাথে সংযোগ স্থাপন করেছে। সেতুটি 6.15 কিলোমিটার (3.81 মাইল) দীর্ঘ এবং এটি 2022 সালে সম্পন্ন হয়েছিল। এটি বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত বৃহত্তম অবকাঠামো প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি।

পদ্মা মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার। এর অ্যাপ্রোচ সড়ক ১২ দশমিক ১১৭ কিলোমিটার। প্রস্ত ২১.৬৫ মিটার পদ্মা সেতুতে মোট পিলারের সংখ্যা ৪২টি স্প্যানের সংখ্যা ৪১টি।

আরো পড়ুন :পদ্মা সেতুর অর্থায়ন করেছে কোন দেশ

পদ্মা সেতু একটি প্রকৌশল বিস্ময় কৃতিত্বের একটি প্রমাণ। এটি সত্যিই একটি অসাধারণ কাঠামো যা আগামী বহু বছরে বাংলাদেশকে ভালোভাবে পরিবেশন করবে।

পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ কত

সেতুটির দৈর্ঘ্য 6.15 কিলোমিটার এবং প্রস্থ 21.65 মিটার। এটি ইস্পাত এবং কংক্রিট দিয়ে তৈরি এবং মোট 41টি স্প্যান রয়েছে। প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য 150 মিটার। সেতুটির স্প্যান গুলোর মোট ওজন 1,16,388 টন সেতুটির মূল স্প্যানটি 200 মিটার এবং পাশের স্প্যানগুলি 150 মিটার। 

সেতুটির মোট পিলারের সংখ্যা 42 টি, সেতুরটির নির্মাণ কাজ শুরু মাওয়া প্রান্তে 6 নম্বর পিলারের কাজ দিয়ে। জমি অধিগ্রহণ 918 হেক্টর এবং সেতুটিতে দৈনিক 75 হাজার যানবাহন চলাচল করার সক্ষমতা রয়েছে ,পানির স্তর থেকে সেতুর উচ্চতা প্রায় 18 মিটার এবং নদীশাসন 16.21 কিলোমিটার

পদ্মা সেতুর পিলার কয়টি

পদ্মা সেতু হল বিশ্বের বাংলাদেশের সেতু, যার দৈর্ঘ্য 6.15 কিলোমিটার লম্বা এবং প্রস্থ 21.65 মিটার চড়া।সেতুটির মোট পিলারের সংখ্যা 42 টি ও স্প্যানের সংখ্যা ৪১টি।
মোট পিলারের সংখ্যা ৪২টি এবং সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু ৭ই ডিসেম্বর ২০১৪ মূল কাজ শুরু করা হয় মাওয়া প্রান্তে ৬ নম্বর পিলারের কাজ দিয়ে।
সেতুটি বাংলাদেশের পদ্মা নদীর উপর বিস্তৃত, রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল, মংলা বন্দরের সরাসরি সড়ক সংযোগ স্থাপন করেছে।

পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য কত কিলোমিটার

পদ্মা সেতুটির দৈর্ঘ্য 6.15 কিলোমিটার। এটি ইস্পাত এবং কংক্রিট দিয়ে তৈরি এবং মোট 41টি স্প্যান রয়েছে। মোট পিলারের সংখ্যা ৪২টি, প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য 150 মিটার।সেতুটির মূল স্প্যানটি 200 মিটার এবং পাশের স্প্যানগুলি 150 মিটার। 

পদ্মা সেতু ঢাকার সাথে কতটি জেলাকে সংযুক্ত করবে

ঢাকার সঙ্গে সরাসরি সড়ক সংযোগ স্থাপন হবে প্রায় ২১টি জেলা,পদ্মা সেতু টি মূলত রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল, মংলা বন্দরের সরাসরি সড়ক সংযোগ স্থাপন তৈরি হয়েছে।
 
এতে করে রাজধানী এবং দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মধ্যে যাতায়াতের সময় এক-চতুর্থাংশ কমে আসবে।পদ্মা সেতু একটি প্রকৌশল বিস্ময় কৃতিত্বের প্রমাণ। যা সত্যিই একটি অসাধারণ কাঠামো যা আগামী বছর গুলোতে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

পদ্মা সেতুর পিলার ও স্প্যান সংখ্যা

সেতুতে মোট পিলার আছে 42 টি। একটি পিলার থেকে আরেক পিলারের দূরত্ব প্রায় 150 মিটার। এই দূরত্বের স্প্যান জোড়া দিয়েই সেতু নির্মিত হচ্ছে। পদ্মা সেতুর প্রতিটি পিলারের নিচে 6 করে পাইল বসানো হয়েছিলো।
 
সেতুটির দৈর্ঘ্য 6.15 কিলোমিটার এবং প্রস্থ 21.65 মিটার। এটি ইস্পাত এবং কংক্রিট দিয়ে তৈরি এবং মোট 41টি স্প্যান রয়েছে। প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য 150 মিটার। সেতুটির স্প্যান গুলোর মোট ওজন 1,16,388 টন সেতুটির মূল স্প্যানটি 200 মিটার এবং পাশের স্প্যানগুলি 150 মিটার।
সব মিলিয়ে পাইলের সংখ্যা ২৪০টি। ইস্পাতের এসব পাইল মাটির নিচে ৯৬ থেকে ১২৮ মিটার পর্যন্ত গভীরে বসানো রয়েছে।

পদ্মা সেতুর অর্থনৈতিক গুরুত্ব

পদ্মা সেতু বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘতম সেতু্। পদ্মা সেতুর অর্থনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। এটি বাংলাদেশের দুটি অংশকে সংযুক্ত করে এবং এটি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও পরিবহনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ প্রদান করে।

সেতুটি বাংলাদেশের জনগণকে উন্নত শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করে।

All Bangla News  👉 Tune Status 👈

পদ্মা সেতু সম্পূর্ণ হলে, পদ্মা সেতু হবে বাংলাদেশের পরিবহন নেটওয়ার্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ। এটি বাংলাদেশের প্রধান দুটি শহর ঢাকা বরিশাল ও খুলনার মধ্যে সংযোগ উন্নত করবে এবং উভয় অঞ্চলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে বাড়িয়ে তুলবে।

উপসংহার

পদ্মা সেতু বিশ্বের দীর্ঘতম সেতু এবং একটি সত্যিকারের প্রকৌশল বিস্ময়। এই সেতুর নির্মাণ বাংলাদেশের সবচেয়ে জনবহুল দুটি অঞ্চলকে সংযুক্ত করেছে, যা তাদের মধ্যে বৃহত্তর অর্থনৈতিক সুযোগ এবং উন্নত সামাজিক একীকরণের অনুমতি দিয়েছে। 

আমরা তাদের সকলকে সাধুবাদ জানাই যারা এই উচ্চাভিলাষী প্রকল্পটিকে বাস্তবে পরিণত করেছেন, কারণ এটি কঠোর পরিশ্রম, নিষ্ঠা এবং দৃষ্টি দিয়ে কী অর্জন করা যেতে পারে তার প্রমাণ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top