ওয়াশিং মেশিন পরিস্কার করার উপায়।ওয়াশিং মেশিনের যত্নের উপায়। washing machine tips bangla

ওয়াশিং মেশিনের অসুবিধা,ওয়াশিং মেশিনের অপকারিতা,ওয়াশিং মেশিন কিভাবে ব্যবহার করে,ওয়াশিং মেশিনে যত্ন,ওয়াশিং মেশিনে বিদ্যুৎ খরচ, www.tunestatus.com

ওয়াশিং মেশিন কি

মানুষের ব্যক্তিত্বের অনেকটাই প্রকাশ করে তার পোশাক দেখে।সে জন্য পরনের পোশাকটি যেমন পরিপাটি হওয়া দরকার ঠিক তেমনি হওয়া চাই পরিষ্কারও। তবে ব্যস্ত এ সময়ে নিজ হাতে কাপড় ধোয়া মত সময় সম্ভব হয় না। তাই সময় বাঁচিয়ে কাপড় পরিষ্কার করার ভার ছেড়ে দিতে পারেন যন্ত্রের উপর। এ যন্ত্রের নাম ওয়াশিং মেশিন। শুধু পরিষ্কার করাই না বরংচ ধোয়া থেকে শুকানোর কাজও কররে থাকে এই আধুনিক যন্ত্র।

ওয়াশিং মেশিন পরিস্কার করার উপায়

ওয়াশিং মেশিন পরিস্কার যে যন্ত্রটি আমাদের কাপড়ের যত্ন নেয় নিয়মিত, সেই যন্ত্রটিরও প্রয়োজন যত্নে নেয়ার। ওয়াশিং মেশিনের যত্ন কীভাবে নিবেন? নিয়মিত ওয়াশিং মেশিনের পরিস্কার রাখতে হবে।ডিটারজেন্ট সাবান জমে অনেক সময় মেশিনের ভেতরের অংশ ব্লক হয়ে যায়। 

তাই ধোয়ার কাজ শেষ হলে ভালোভাবে মেশিনের ভেতরটা ধুয়ে পরিস্কার করে রাখুন।ওয়াশিং মেশিনে অতিরিক্ত কাপড় দিয়ে ওভারলোড করবেন নাহ।  এতে করে মেশিনের ব্যালেন্স নষ্ট হতে পারে। কাপড় শুকানোর সময় ড্রয়ারের স্পিনারেরও সমস্যা হতে পারে।

আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস মাপার মেশিনের মূল্য কত

 ওয়াশিং মেশিনের যত্নের উপায়

  1. ওয়াশিং মেশিন দীর্ঘদিন ভালো রাখতে এটির সঠিক ভাবে যত্ন নেয়া প্রয়োজন। এজন্য নিয়মিত ওয়াশিং মেশিন পরিষ্কার করতে হবে। 
  2. ডিটারজেন্ট সাবান  বা হুেইল সাবান জমে অনেক সময় মেশিনের ভেতরে অনেক অংশ ব্লক হয়ে যায়। তাই ধোয়ার কাজ হলে ভালভাবে মেশিনের ভিতরটা ধুয়ে পরিষ্কার করতে হবে। 
  3. ওয়াশিং মেশিনে একসঙ্গে বেশি জামা-কাপড় দেয়া উচিত নাহ। ধারণক্ষমতার চেয়ে 1 বা 2 কেজি কম দিতে হবে। বেশি জামাকাপড় একসঙ্গে দিলে মেশিন দুর্বল বা খারাপ হয়ে যেতে পারে। এতে করে জামাকাপড়ও ভালো পরিষ্কার হয় না। 
  4. কাপড়ে সেফটিপিন বা আর্টিফিশিয়াল বোতাম থাকলে মেশিনে দেওয়ার আগে তা খুলে নিন।কেননা তাতে মেশিনে দাগ পড়ে যায়। কাপড়ও ছিঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
  5. মেশিনে ভিতর দুর্গন্ধ হলে পানিতে 2/3 কাপ চামচ লেবুর রস অথবা ভিনেগার মিশিয়ে মেশিন টিকে পরিষ্কার রাখুন।
  6. ওয়াশিং মেশিন ব্যবহার করার পর বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ বা অফ রাখুন।
  7. ওয়াশিং মেশিনে ভোল্টেজ ওঠানামা করলে তাতে মেশিনের ক্ষতি হতে পারে। এজন্য ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার ব্যবহার করুন। 
  8. মেশিনের সঙ্গে পানির সংযোগ লাইন যেখানে, সেই জায়গাটুকু নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন।
  9. অতিরিক্ত সাবান ব্যবহার করবেন না। পাউডার ডিটারজেন্টের পরিবর্তে লিকুইড ডিটারজেন্ট ব্যবহার করতে হবে।.

আরো পড়ুন: কারেন্ট বিল কিভাবে কমানো যায়

ওয়াশিং মেশিনে লিকুইড ব্যবহার করুন

অনেকেই বলেন যে, ওয়াশিং মেশিনের কাপড় পরিষ্কার হয় নাহ, গুঁড়ো সাবান বেশি খরচ হয়ে যায়, কাপড় নষ্ট হয়ে যায় খুবদ্রুত ইত্যাদি। আপনার এসব দুশ্চিন্তা দূর করতে পারে লিকুইড। 
 
ওয়াশিং মেশিনে কাপড় দেয়ার আগে পানিতে গুঁড়ো পাউডার গুলে অথবা কাপড় ধোয়ার লিকুইডে কিছুক্ষণ কাপড় ভিজিয়ে রাখুন। এরপর কাপড় মেশিনে দিন। মেশিনের মধ্যে দেয়ার জন্যও লিকুইড ব্যবহার করুন। এতে করে যেমন গুঁড়ো পাউডার খরচ অনেক কমবে তেমনি কাপড়ও অনেক পরিষ্কার হবে।
 
লক্ষণীয়

কাপড়ের প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে আলাদা আলাদা ভাবে ধোয়ার চেষ্টা করুন। কারন সুতি কাপড়ের সঙ্গে ভারি জিনস ধুবেন না।এখন কার মেশিনে কাপড় ধোয়ার জন্য আলাদা আলাদা অপশন থাকে। মেশিন চালু করার আগে কাপড়ের ধরন অনুযায়ী অপশন নির্ধারণ বা চেপে নিন। 
 
যেমন-সুতি কাপড়ের জন্য কটন অপশনে রয়েছেমেশিনে ধোয়া কাপড় অবশ্যই রোদে বা বাতাসে কিছুক্ষণ মেলে রাখবেন।ওয়াশিং মেশিনের ড্রায়ারে ভেজা পোশাক দেওয়ার আগে সেগুলো ভালো করে ঝাঁকিয়ে পানি ঝরিয়ে নিবেন।
 
এতে কাপড়ের মান অনেক ভালো থাকে এবং কাপড় কুঁচকে যায় না।মেশিনে কোনো কাপড় না দিয়ে খালি মেশিনে গরম পানি, বেকিং সোডা দিয়ে একবার চালান যাতে করে মেশিনের ভেতর পরিস্কার হয়ে যাবে।
 
শেষ কথা
 
সব মেশিনই ব্যবহার শেষে পরিষ্কার করে রাখুন।কেননা তাতে করে মেশিন ভালো থাকবে এতে অনেক দিন মেশিন ভালো থাকবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top